ইউক্রেন সংঘাতে নতুন মোড়
এম,এম সেলিম উদ্দীন
কিয়েভ, ইউক্রেন: ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এসেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আজ সকালে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তাদের সামরিক বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত শহর পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই পুনরুদ্ধার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এই জয় আমাদের দেশের সাহসী সেনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বীরত্বের ফল। আমরা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত এবং আমরা কোনোভাবেই পিছু হটবো না।"
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘর্ষে রাশিয়ার জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে এবং ন্যাটো মিত্ররা ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আমরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা ইউক্রেনের জনগণের পাশে আছি।"
ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই সাফল্যের প্রশংসা করেছে এবং রাশিয়াকে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, "ইউক্রেনের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে তাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি কতটা দৃঢ়।"
বিশ্লেষকরা বলছেন যে, এই পরিস্থিতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য একটি বড় চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে পারেন।
এই ঘটনার পর বিশ্ববাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষত তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং সরবরাহের চেইনে ব্যাঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউক্রেনের জনগণের জন্য এই জয় একটি বড় মাইলফলক, তবে এই সংঘাতের সমাপ্তি এখনও সুদূর পরাহত। বিশ্ববাসী এই পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।
Comment / Reply From
You May Also Like
Popular Posts
Newsletter
Subscribe to our mailing list to get the new updates!