শার্শায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা, থানায় অভিযোগ
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলায় চাঁদাদাবির অভিযোগে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী সোহাগ হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সোহাগ স্থানীয় দৈনিক ‘যশোর বার্তা’ পত্রিকার বাগআঁচড়া (শার্শা) প্রতিনিধি।তিনি শার্শা উপজেলার বাগুড়ি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া জোহরা মেডিকেল সেন্টারের ম্যানেজার শ্যামল মুখার্জি সোমবার (৮ এপ্রিল) শার্শা থানায় চাঁদাদাবির লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্রের বিবরণে জানা যায়, গত রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সোহাগ হোসেন স্থানীয় বাগআঁচড়া বাজারে জোহরা মেডিকেল সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে যেয়ে সামনে ঈদ বলে চাঁদাদাবি করেন। এসময় ওই ক্লিনিকের ম্যানেজার চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন এবং বলেন কিভাবে ক্লিনিক চালায় দেখে নেবেন। পরবর্তীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে সোহাগ তার (গফ ঝযড়যধময) ফেসবুক আইডি থেকে ওই ক্লিনিকের সুনাম নষ্ট করার জন্য কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালায়। এর আগেও সাংবাদিক পরিচয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, কলারোয়া থানার বেলতলা বাজারে আমের আড়তদার (ব্যবসায়ী) মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে সোহাগ চাঁদাদাবি করলে ওই সময় স্থানীয় জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। পরে ওই আম ব্যবসায়ী সোহাগের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। ওই সময় চাঁদাবাজি মামলায় সোহাগকে জেল হাজতে প্রেরণ করে বিজ্ঞ আদালত। তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে আবারও জড়িয়ে পড়েছে চাঁদাবাজিতে।
এছাড়াও সাংবাদিক পরিচয়ে স্থানীয় বাগআঁচড়া বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছবি তুলে মালিকদের এবং এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে সোহাগ। এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ. মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইদানীং শার্শা উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়ে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা এদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি।
প্রেরকঃমহসিন মিলন
Comment / Reply From
You May Also Like
Popular Posts
Newsletter
Subscribe to our mailing list to get the new updates!