
জমি সংক্রান্ত বিরোদের জেরে ঘরবাড়ী ভাংচুর ও ১২০০ জনের নামে মামলা
জমি বিরোধ থেকে শুরু হলে হয় বাড়ীঘর ভাংচুর ও মামলা, দিনাজপুর জেলার অর্ন্তগত ঘোড়াঘাট চুনিয়েপাড়ায় জমিজমার বিরোধ ধরে বাড়ী ঘর ভাংচুর ও বহু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হলো প্রায় ১২০০ শত মত মানুৃষ, এতে বহু লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটে ।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সুনীল চন্দ্র দাস।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাড়িঘরে হামলা, আগুন লাগানো, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশ অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুনিয়াপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে গত ২৫ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় মনোয়ার হোসেন মীম (২৪) ও রাকিব হোসেন (২৫) নামের দুজন নিহত হন। পরদিন দুপুরে দুজনের জানাজার সময় নিহত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন চুনিয়াপাড়ায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে অগ্নিসংযোগ করেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেছেন। অগ্নিসংযোগকালে লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালান। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে নারী, শিশু ও পুরুষেরা বাড়িঘর ছেড়ে পালান।
মামলার এজাহারে বাদী সুনীল চন্দ্র দাস বলেন, নিহত দুজনের জানাজা ও দাফনকাজে উপস্থিত খোদাদাতপুর ও পাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে চুনিয়াপাড়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িঘরে হামলা চালান। এ সময় সেখানে উপস্থিত থানা-পুলিশসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে হামলাকারীরা চুনিয়াপাড়ার আবদুস সালাম, তোতা মিয়া, নুরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমানের বাড়িসহ আশপাশের কিছু টিনের বসতবাড়ি এবং বাড়ির সামনে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেন। এসময় নজরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আবদুল ওহাব, মোগেন ওরফে মকবুল হোসেনের বাড়িসহ প্রায় ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, বাড়িঘরে আগুন লাগানো, ভাঙচুর, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট এবং গরু-ছাগল চুরির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
পরে পার্শ্ববর্তী থানাগুলো থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Comment / Reply From
You May Also Like
Popular Posts
Newsletter
Subscribe to our mailing list to get the new updates!