দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে তিনি ধানের শীষের চিঠি পাওয়ার পর মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন।
আব্দুর রশীদ ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গাইবান্ধা-২ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দলের কার্যালয়ে জাপা ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টু
ক্ষুব্ধ রশীদ বলেন, “আমি বারবার প্রতারিত হয়েছি। আমার তো একটা ভবিষ্যৎ আছে। আমি রাজনীতি করব। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রতারিত হয়ে আমি জাপা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আব্দুর রশীদের অভিযোগ, কেবল ‘টাকার অঙ্ক কমে যাওয়ায়’ জাপা তাকে ২০০১ সালে মনোনয়ন দেয়নি।
“আমাকে ২০০৮ এ মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। পরে আমার হাত ধরে পার্টিতে যারা এসেছে, তাদেরও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, আমাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। আমি পার্টির জন্য অনেক করেছি, টাকা খরচ করেছি। আর কত? আমি আর পারছিলাম না।”
এবারও মহাজোটের শরিক দলটি থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টুও পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
তবে গত বুধবার জাপা যে ১১০ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে তার নাম রয়েছে।
জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় যখন সেন্টুর কাছে মনোনয়নের চিঠি পৌঁছানো হয়, ততক্ষণে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়ে গেছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল বুধবার।
ক্ষুব্ধ সেন্টু বৃহস্পতিবার সকালে বনানীতে দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমর্থকদের নিয়ে মহড়া দেন। তার সমর্থকরা কার্যালয়ের সামনে স্লোগানও দেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে পরে সেখানে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
এসময় সেন্টু সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নের চিঠি না পেয়ে তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
“দুই-একদিনের মধ্যেই পদত্যাগের চিঠি দেব,” বলেন সেন্টু।
এ ব্যাপারে জাপার ঢাকা (উত্তর) মহানগরের সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী বলেন, “মহাজোট এখনও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি, তার নামও জাপার তালিকায় আছে৷ তবে কেউ পদত্যাগ করলে সেটা তার ব্যাপার।”
তবে ঢাকা-১৩ আসনে শফিকুল ইসলাম সেন্টুর মহাজোটের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, কারণ সেখানে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাদেক খানকে প্রার্থী করা হয়েছে।